
হিন্দু পুরাণ মতে
মহিষাসুর নামে একটি দৈত্য, দীর্ঘ ও কঠোর
তপস্যা করে ব্রহ্মার এবং এরুপ বর অর্জন করে যে কোন মানুষ বা দেবতার কেউ তাকে হত্যা
করতে সক্ষম হবে না, শুধুমাত্র এক
নারীই তাকে হত্যা করতে পারবে। মহিষাসুর এই বর পেয়ে খুব সন্তুষ্ট ছিল, এবং আল্পদিনেই প্রবল অহংকারী হয়ে উঠে
মহাবিশ্বের উপর তার সন্ত্রাসের রাজত্ব শুরু করে। মর্তের মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা
করার পর, সে স্বর্গ আক্রমন
করে এবং দেবতাদের পরাজিত ও বিতাড়িত করে স্বর্গেও একাধিপত্য কায়েম করে।
মহিষাসুরের হাতে
তাদের ব্যর্থতা ও পরাজয়ের পর অপমানিত
দেবতারা ঋষি কাত্যায়ণ এর কুটিরে আশ্রয় নেন এবং আদিনাথ শিব, পালনকর্তা বিষ্ণু ও সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মাকে
স্মরন করে স্বর্গদেশ পুনরুদ্ধারে তাঁদের সাহায্য প্রার্থনা করেন। ত্রিদেব তখন
দেবতাদের বলেন, এর একমাত্র
সমাধান যুদ্ধ এবং মহিষাসুর হত্যার জন্য সর্বশক্তিমান এক নারীর সৃষ্টি আবশ্যিক। তখন
ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহাদেব
সহ সমস্ত দেবতাগনের বিশুদ্ধ শক্তি থেকে এক পরমা রুপবতী দশভুজা দিব্য স্ত্রীমূর্তি
সৃষ্টি হয়, ইনিই আদ্যাশক্তি
মহামায়া দেবী দুর্গা। পরবর্তীকালে এই দেবী দুর্গাই সমস্ত দেবতাগণ দ্বারা বিভিন্ন
অস্ত্রে সজ্জিতা হয়ে মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন ও তাকে হত্যা করে
স্বর্গ-মর্ত্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন।
No comments:
Post a Comment