(Durga Puja in Autumn & Its
Connection with Ramayana)
অযোধ্যাপতি রাম ছিলেন
ভগবান বিষ্ণুর সপ্তম অবতার। ১৪ বছর বনবাসকালে তাঁর স্ত্রী সীতাকে দৈত্যরাজ রাবণ অপহরণ করেন। রাবণের কবল থেকে সীতা মুক্ত করার জন্য রাম দৈত্য রাজা বধ
করার সিদ্ধান্ত নেন। ভগবান রাম রাবণের প্রাণনাশে সাফল্য অর্জনের জন্য দেবী দুর্গা কৃপা কামনা করেন
ও সেজন্য তিনি আদ্যাশক্তি দেবী দুর্গার আরাধনা করেন। ঐতিহ্যগতভাবে
দেবী দুর্গা বসন্ত ঋতুতে পূজিত হতেন। কিন্তু যুদ্ধের কারণে রাম শরৎ ঋতুতে দেবীর
আশীর্বাদ জন্য প্রার্থনা করেন। জদিও শরৎকাল দেবদেবীদের শরৎ ঋতু সময় দীর্ঘ ঘুমের সময় বলেই জ্ঞাত।
কারণ,
এসময় দিন ছোট ও রাত বড় হয় এবং রাত সাধারণত রাক্ষস জাতির
পরিচায়ক বলে গণ্য করা হয়।
রাজা রামের দুর্গাপূজার কল্পিত চিত্র ।। সৌজন্যে : ইন্টারনেট (Wikimedia)
প্রথা অনুযায়ী দেবী
দুর্গার অষ্টমীবিহিত সন্ধিপূজায় ১০৮ টি নীল পদ্মের প্রয়োজন হয়, কিন্তু অনেক
চেষ্টার পরেও রাম শুধুমাত্র ১০৭ টি পদ্মের ব্যবস্থা করতে পেরেছিলেন। এসময় নিরুপায় হয়ে তিনি ১০৮
তম পদ্ম স্বরূপ এক তাঁর নিজের চোখ উপড়ে নিতে উদ্যত হন। এবিষয়ে উল্লেখ্য যে
পতিতপাবন রামের চোখকে নীল পদ্মের সঙ্গে তুলনা করা হত বলে তাঁর অপর নাম ছিল ‘পদ্মলোচন’।
মা দুর্গা এই প্রস্তাব পেয়ে রামের একনিষ্ঠতা দেখে খুশি হয়ে স্বয়ং ভগবান রামের
সামনে আবির্ভূতা হন এবং দৈত্যরাজ রাবণকে যুদ্ধে পরাজিত করার জন্য শ্রীরামকে
আশীর্বাদ করেন। মা দুর্গার এই অসময়ে আবাহন বাংলায় ‘অকালবোধন’ হিসাবে পরিচিত হয়। তারপর থেকেই শরৎকালে দেবী
দুর্গার পূজা প্রচলিত হয়। শরৎকালীন দুর্গাপূজা শারদোৎসব নামে পরিচিত হয় এবং সমস্ত বাঙালি অধ্যুষিত
অঞ্চলে বৃহদাকারে পালিত হয়। বসন্তকালীন দুর্গাপূজা বাসন্তী পূজা নামে পরিচিত যা
ঐতিহ্যগতভাবে মূল দুর্গাপূজা হলেও উদযাপনের উন্মাদনায় শরৎকালীন পুজোর তুলনায় প্রায় হারিয়ে গেছে বলে চলে।
No comments:
Post a Comment